লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। শিশুরা যাতে আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে, সে লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাস শিশুদের জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিতদের পক্ষে। একথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, গাজায় যখন শিশুদের হত্যা করা হয়, তখন বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবতাবোধ কোথায় থাকে। তিনি বলেন, বিশ্বে অনেকেই শিশুর অধিকার, শিক্ষা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিন্তু পাশাপাশি তাদের দ্বিমুখী কার্যক্রম দেখা যায়। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাজায় যখন শিশু ও নারীদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন বিশ্ব বিবেক কোথায়।
এর আগে, রোববার বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়।