বাংলা সংবাদ মাধ্যম

অন্তত এক বছর ভাত খাব না, ভোটের মাঠে একি বললেন রচনা!

অভিনেত্রী আর রাজনীতিক রচনার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে জীবন ধারা একেবারেই বদলে গেছে রচনা ব্যানার্জির। ভারতে চলমান লোকসভা ভোটে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের প্রার্থী ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। 

এদিকে শুটিংয়ের সেটে আর ভোটের মাঠ এক নয়, তা হারে হারে টের পাচ্ছেন রচনা। নির্বাচনে নেমে নিজের রুটিন পুরো বদলে ফেলেছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে রচনা বলেন, ‘এমনিতে তো একেবারেই ভাত খাই না। এখন প্রচারের জন্য এত জায়গায় ঘুরতে হচ্ছে, কত জনের সঙ্গে দেখা করছি, এর মধ্যে ভাত না খেয়ে উপায় নেই। প্রায় রোজ দুপুরে ভাত খেয়েছি এই কয়েক মাস। কিন্তু ভোট মিটে গেলে অন্তত এক বছর ভাত খাব না। আবার রুটিনে ফিরতে হবে।’

তিনি  বলেন, খাওয়াদাওয়া তো দূরের কথা! নিজের ছেলের সঙ্গেই দেখা হয়নি ভালো করে। খুব কম সময় দিতে পেরেছি ওকে। এর মধ্যে প্রায় দেখাই হয়নি ওর সঙ্গে। অর্ধেক দিন কাজের সূত্রে অন্য জায়গায় থেকেছি। বাড়ি ফিরলেও দেরি হয়েছে। তত ক্ষণে ও ঘুমিয়ে পড়েছে। ফলে মা-ছেলে যে কত দিন একে অপরকে ভালো করে দেখি না!

এদিকে রাজনীতিক রচনাকে নিয়ে নানা প্রকার চর্চা হয়েছে গত কয়েক মাসে। তার কথা, তার সাজ, চলাফেরা— সব নিয়েই হয়েছে বিশ্লেষণ। ব্যক্তি রচনা এ সবের মধ্যে চাপা পড়ে গেছেন কি?

রচনা জানান, ভোটের কাজ শেষ হলে নতুন করে রচনাকে ফিরে পাবেন বন্ধুরা। যদিও রচনা ভোটের সময়েও পাশে পেয়েছেন বন্ধুদের। বলেন, আমার প্রচারে এসেছে বন্ধুরা। যে যেমন সময় পেয়েছে, তেমন করে পাশে থেকেছে। এর চেয়ে বেশি ওদের আমি খাটাতে চাই না।

সাজগোজেও বদল এনেছেন দিদি নম্বর ওয়ান। সাধারণ সময়ে যেমন পোশাকে তাকে দেখাই যায় না, তা-ই হয়ে ওঠে এ কয়েক মাসের সঙ্গী। বলেন, শাড়ি তো এমনিতে তত পরা হয় না। গরমে কষ্টই হয়। কিন্তু মানুষ আমাকে যেভাবে দেখতে চায়, আমি সে ভাবেই সেজেছি। তাতে আমার যতই কষ্ট হোক না কেন!

Leave A Reply

Your email address will not be published.