চলতি বছর শুরুর দুই মাসেই ডেঙ্গুজ্বরে প্রাণ গেছে ২০ জনের। যা গত বছরের এই সময়ের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিকঠাক মশা নিধন না করলে এবার পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। ভেঙে যেতে পারে গত বছরের প্রাণহানির রেকর্ড। এই অবস্থায় প্রয়োজন জোর প্রস্তুতি।
গেল বছর ডেংগুতে মৃত্যুর শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। ৬৪ জেলা ভুগেছে বছরজুড়ে। তবে ২০২৩ সালের আগের ২২ বছরে, এ জ্বরে মারা যায় ৮শ’ ৬৮ জন। সেসব রেকর্ড ভেংগে যায় ১ বছরেই। প্রাণ গেছে ১ হাজার ৭শ’ ৫ জনের।
সমীকরণ ছিলো এ বছর আরও ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। যার আভাস মিলেছে সরকারি তথ্যেও। ১৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত পনেরশ। অথচ এক বছর আগেই মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৯, আক্রান্ত ৭শ’ ৮২ জন।
গ্রাম কিংবা শহর, গতবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যায় বাদ পড়েনি কোন অঞ্চল। তাই এবার প্রস্তুতিটাও নিতে হবে আঁটসাঁট বেঁধে বলে পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, এ বছরের প্রথম ২ মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুজ্বরে বেশি সংখ্যায় মারা গেছেন শিশু ও নারীরা। আক্রান্তে এবার পুরুষের সংখাও বেশি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনে আলাদা দফতর খুলে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কাজ করার তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।