পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের পর বহির্বিশ্ব আওয়ামী লীগকে কতটা সমর্থন করবে এ নিয়ে সংশয়ে ছিল বিএনপি। ভোটের পর তারা দেখলো গোটা দুনিয়া নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, একসাথে কাজ করার অভিপ্রায় জানাচ্ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। তাতে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে, বিএনপির এমন বক্তব্য হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বললেন, বাংলাদেশ সরকারের নীতির কারণে আরাকান আর্মি আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হচ্ছে, এগুলো পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে বাংলাদেশে দুইজন নিহতের ঘটনায় নেইপিদোকে কড়া দিয়েছে ঢাকা। দেশটির এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঢাকার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এই বার্তা তার সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমার সীমান্তে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেশটির ২২৯ নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড় পুলিশের (বিজিপি) পাশাপাশি ক্যাম্পে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশটির এসব নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে কীভাবে নিয়ে যাবে তা নিয়ে কথা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কথা হয়েছে, তারা তাদের নাগরিকদের নৌপথে ফিরিয়ে নেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আসন্ন ভারত সফর সম্পর্কে বলেন, দেশটিতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে দেখা করার কথা রয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমরা ইতোপূর্বেও মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়াসহ সবক্ষেত্রেই ভারতের সহায়তা চেয়ে এসেছি। এসব বিষয় স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হবে।