বাংলা সংবাদ মাধ্যম

চিতলমারীতে বাজার ভাল থাকায় চাষিরা ঝুঁকছে পাট চাষে

বাগেরহাট সংবাদদাতা:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে পাটের বাজার দর বেড়েছে। ফলে চাষিরা ঝুঁকছে পাট চাষের দিকে ; পাটকে স্বর্ণতন্ত্র বা সোনালি আঁশ বলা হয়। বিগত প্রায় একযুগ ধরে ক্রমাগত ভাবে পাটের বাজারে ধ্বস লাগে। এবং বিদেশে রপ্তনির মাত্রা নাজুক পরিস্থিতিতে পৌছে যায়। ফলে পাট চাষে প্রান্তিক চাষিরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

এ পরিস্থিতিতে গত ২১-২২এবং চলতি অর্থ বছরে পাটের মূল্য তুলনা মুলক ভাবে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তারা কোমর ও বুক সমান পানিতে সারাদিন নিজের শরীর ডুবিয়ে ছাড়াতে থাকছেন পাটের আঁশ। পাট বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। এমনটি সরেজমিনে দেখা গেছে।

উপজেলার শিবপুর, হিজলা,কলাতলা,বড়বাড়িয়াসহ সাত ইউনিয়নে এবছর উচ্চফলনশীল পাট ও মেসতা উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে চলতি পাট মৌসুমে আবাদকৃত জমির লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ৯০০ হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ৮৭১ হেক্টর। তারমধ্যে পাট ৮২৮ হেক্টর এবং মেসতা ৪৩ হেক্টর।

শিবপুর গ্রামের পাটচাষী মোঃ জালাল শেখ (৬৫), বলেন তিনি কৃষি অফিস থেকে উচ্চফলনশীল জাতের বীজ নিয়ে ১৬ কাঠা জমিতে পাট বুনে ছিলেন।তার উৎপাদিত পাটের পরিমান প্রায় ১৬মনে দাঁড়াতে পারে বলে ধারনা করেছেন। স্থানীয় ব্যপারীরা প্রতিমন পাট ২২০০ টাকা দাম বলছে বলেও জানান।

স্থানীয় রঞ্জন মন্ডল বলেন, গত বছর প্রতিমন পাটের মূল্য ছিলো ২৬শত টাকা। এবছরও একই মূল্য থাকবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো জানান, পাটের জমিতে পরপর তিনটি ফসল হয়। পাট কাটার পর রোপা ধান, তার পর রবিশষ্যের চাষ করা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান, পাট একটি অর্থকারী ফসল তাই দিনদিন পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বড়ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.