বাংলা সংবাদ মাধ্যম

খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলার নিন্দা ও বিচার দাবি মহিলা ফোরামের

খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলার নিন্দা ও বিচার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট দিলরুবা নূরী এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

গত ২৯ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুল মাঠ এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে চার নারী ফুটবলার আহত হন। আহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়ন দলের নারী ফুটবলার মঙ্গলী বাগচী, হাজেরা খাতুন, জুই মন্ডল এবং সাদিয়া নাসরিন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩১শে জুলাই খুলনার বটিয়াঘাটায় তেতুলতলা মাঠে ফুটবল প্র্যাক্টিসের সময় অনুমতি ছাড়া নারী ফুটবলারদের ছবি তুলে স্থানীয় এক ব্যাক্তি কটুক্তিসহ ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজন নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন ও মঙ্গলী বাগচী ছি তোলার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তখন নারী ফুটবলারদেও পোষাক নিয়ে কটুক্তি করে চারজন ব্যক্তি তাদের উপর হামলা চালায় ও রড দিয়ে বাড়ি মেরে মঙ্গলী বাগচীর মাথা ফাটিয়ে দেয় ও সাদিয়াসহ আরো দুইজন ফুটবলারকে আহত করে। মঙ্গলী অচেতন হয়ে গেলে তাকে বেধে রাখা হয় পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের নারীরা শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা কওে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অথচ নারী ক্রীড়াবিদদেও বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ প্রায় শূন্য। ফুটবল খেলার প্রয়োজনে নারীর যে পোশাকই পড়তে হোক, সেটা নিয়ে কটুক্তি থেকে হামলা পর্যন্ত হওয়া আমাদের সমাজে বিদ্যমান মৌলবাদী কূপমন্ডুক চিন্তারই পরিচায়ক। বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এধরনের ঘটনা আরো ঘটবে ও নারী ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে আসার অতি দূরুহ পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খুলনার বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ও নারী ক্রীড়াবিদদের নিরাপদ পরিবেশে ক্রীড়াচর্চা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.