অনেক মান-অভিমানের পর এই হাসিমুখ : চঞ্চল
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টেলিভিশন, মঞ্চ, চলচ্চিত্র কিংবা বিজ্ঞাপন-মিডিয়ায় সব মাধ্যমেই পদার্পণ তার। শহুরে বা গ্রামীণ চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন দর্শকের মাঝে। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মনোভাব তুলে ধরেন তিনি।এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ মার্চ) তিনি তার সন্তানকে নিয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়েছেন। পাঠকের জন্য চঞ্চল চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হতো।তিনি লেখেন, ‘বহুদিন পর তাকে স্কুল থেকে নিতে আসা। অনেক মান-অভিমানের পর এই হাসিমুখ। খুব আফসোস হয়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা কোনোদিনই স্কুলে আনা-নেওয়া করেনি। গ্রামের স্কুল তো, দলবেঁধে সব ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম-আসতাম। ঢাকা শহরের বাবা-মায়েদের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ। সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া, কোচিংয়ে আনা-নেওয়া, এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম।তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা-মায়ের এই কষ্টটুকু যদি অন্তত সন্তানরা বুঝতো, তারা একটু হলেও শান্তি পেতো। আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না। আমার বিশ্বাস, আমাদের বাবা-মা মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাদের চেয়ে বেশি বৈকি কম যুদ্ধ করছি না, আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য।’এ ছাড়া তিনি লেখেন, ‘অবশ্য যেসব অতি-বিত্তশালী বাবা-মা শুধুই বাসার ড্রাইভার বা কাজের বুয়াকে দিয়ে তাদের সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করান, তাদের কথা আলাদা। কোনো প্রতিদান চাই না কারও কাছে। শুধু নগর পিতার কাছে প্রার্থনা, রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোনো আশু-পদক্ষেপ নেওয়া যায়?