মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে চিন্তা করা অথবা কথা বলার সময় আমার নেই; এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনে না আসা, আন্দোলনে ব্যর্থতা সব মিলিয়ে তাদের মধ্যে অনেক হতাশা। এসব হতাশা থেকেই তারা এখন আবোল তাবোল উক্তি দিচ্ছে। আমাদের বিরোধিতা করতে কিছু না কিছু তো তাদের বলতেই হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই। আর এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথাও নেই।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মিয়ানমার সীমান্তে এবার আর উদার প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, নতুনভাবে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে, দেশে শঙ্কা বা উদ্বেগ তৈরি হোক, সরকার তা চায় না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিপির যে সদস্যরা পালিয়ে এসেছে, তাদের ফেরত নিতে এরইমধ্যে মিয়ানমার সরকারকে বলা হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন রকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত। এছাড়া সার্বভৌমত্বের অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারছে না সরকার, এমন মন্তব্যও করেছিলেন তিনি।
এছাড়া গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকার ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ নাটক করে তলে তলে অপকর্ম করার নতুন কৌশল নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।