বাংলা সংবাদ মাধ্যম

মুক্তিযুদ্ধ ও বাঁশিওয়ালা নাবিকের স্বদেশফেরা” বই এর মোড়ক উন্মোচন

কাইয়ুম হোসেরঃ

২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে একুশে প্রদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই “মুক্তিযুদ্ধ ও বাঁশিওয়ালা নাবিকের স্বদেশফেরা” এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বইয়ের সম্পাদক ও বিদ্যাভবন গবেষণা কেন্দ্র-এর নির্বাহী পরিচালক, ব্যারিস্টার দেওয়ান মামুনূর রশিদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. মো. হুমায়ুন কবির মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, তথ্য কমিশনার ও প্রাক্তন জেলা জজ শহিদুল আলম ঝিনুক, কবি ও ফোকলোর গবেষক ড. শিহাব শাহরিয়ার, প্রখ্যাত ছড়াকার আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, মাসিক সরগম এর সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন, লেখকের ছোট ভাই সাহিদুল ইসলাম হেলাল, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।

ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম বলেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঁশিওয়ালা নাবিকের স্বদেশফেরা বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। যাঁরা পিছনে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং আজকে যাঁরা সামনে থেকে উৎসাহ প্রদান করছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন ৬০ বছর ধরে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে সুর তৈরী করে যে সংগ্রাম করছি সে সংগ্রামে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি বই সংযুক্ত হলো।

বক্তারা বলেন, নিভৃতচারী একুশে পদক প্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম সমুদ্রগামী জাহাজের একজন ক্যাপ্টেন হয়ে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সংগ্রামী অধ্যায়কে নিয়ে বইটি রচনা করেছেন। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠক বুঝতে সক্ষম হবেন যে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালিরা কতটা ঝুঁকি নিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটি হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের এক অনবদ্য ইতিহাস।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান ভাষা সংগ্রামী, বীর শহীদ ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাঁশি পরিবেশন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। এ সময়ে তিনি বাঁশিতে মারওয়া, সাহিনি, দুর্গা, খাম্বাজ, ঠুমরি ও ভাটিয়ালি পরিবেশন এর মাধ্যমে বংশীবাদন সমাপ্ত করেন। তবলায় বিশ্বজিৎ কুমার নট্ট, তানপুরায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন রুপা নুর ও নিপা আক্তার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.