বাংলা সংবাদ মাধ্যম

বিএনপি থাকলে লুট করে, না থাকলে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় : শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুটপাঠ করে । আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে ক্ষমতায় আসার জন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এরা কত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।

তিনি বলেন, তারা শুধু জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসই করতে পারে। খালেদা জিয়া ও তাঁর কু-পুত্র তারেক জিয়া লুটপাট করতে জানে। তারা ধ্বংস করে আর আমরা সৃষ্টি করি। নৌকা ক্ষমতায় এলে কাজ হয়, আর অন্য কেউ এলে কোনো কাজ হয় না।

বুধবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় স্মরণকালের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি। মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। ভোট দেয়ার জন্য ভোটার তালিকাও করেছি আমরা। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই কাজ করে। আমরা প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। নারীদের জন্য কাজের সুবিধা করে দিয়েছি। আমাদের কাজের লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। এ অঞ্চলে জীবনেও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না, মঙ্গা দেখা দেবে না। বাংলাদেশে কোনো ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। কারও ঘর না থাকলে আমাকে জানাবেন, জমিসহ ঘর করে দেবো। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নও করবো ইনশাআল্লাহ। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বিকেল ৪.১২ মিনিটে শুরু করা তাঁর ভাষণ ৪.৪৯ মিনিটে শেষ করেন। প্রায় ৩৭ মিনিটের বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। কয়লার দাম ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েকদিন সমস্যা ছিলো। এরপর এখন ঠিক হয়ে গেছে। বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, আমি খালি হাতে আসিনি। আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। কতকগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। যাতে প্রত্যেকটা উন্নয়ন তরান্বিত হয় তার ব্যবস্থা করেছি।

এর আগে দুপুর ২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। এরপর সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউজে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেল ৩.২৫ মিনিটে জনসভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জনসভার কার্যক্রম। রংপুরের ঐতিহাসিক জিলা স্কুল মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠ ছাড়িয়ে প্রধান সড়কের দু’দিকে অবস্থান নেন বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, নৌ পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.