এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো স্কোরিং। বিশেষ করে দিনের ম্যাচগুলোতে কোনো রকমে দেড়শ রান করতে পারলেই সেটা নিয়ে লড়াই করা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পাওয়ার প্লেতেও রানের দেখা মিলছে না। আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম ৬ ওভারে সংগ্রহ করেছে ৪৩ রান। আর এই রানেই খুশি দলটির অধিনায়ক লিটন দাস।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমরা খুব ভালো পাওয়ার প্লে খেলেছি। যে টার্গেট…দেখেন আমরা শুরুর তিন ওভারে খুবই কম রান করেছিলাম। সেখান থেকে ৬ ওভারে ৪৩ এর মতো। পাওয়ার প্লেতে এটা খুবই ভালো একটা টোটাল।’
লিটন অবশ্য এদিন মারমুখি ছিলেন। তবে ভিন্নতা দেখা গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্ষেত্রে। তিনি ছিলেন স্লো। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘অপজিট সাইডে একজন ব্যাটার যখন অ্যাটাকিং খেলতে থাকবে, তখন নন স্ট্রাইকের ব্যাটাররা একটু নরমাল খেলে। সবার জন্য সব দিন ইজি হয় না। যাবেন আর মারবেন এই জিনিসটা হয় না। আজকে আমার দিন ছিল, ব্যাটে-বলে হয়েছে।’
‘নরমালি এই জিনিসটা আমার দ্বারা নাও হতে পারে। হতে পারে ৩০ বলে ২০ রান করতে পারি। বাট জিনিসটা এমন না। আপনি যদি দেখেন, প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই চেষ্টা করছে রান করার। বাট স্টিল এখানে বিপিএলের কম ম্যাচই আছে যেখানে হাই স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। আজকেও দেখেন ১৫০ রানের গেম, অলমোস্ট আমরা ৩০ রানের উপরে গিয়ে জিতেছি। বুঝতেই পারছেন আপনার ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট কম থাকবে।’- যোগ করেন লিটন।
ফিফটি মিস করাটা লিটনের কাছে বড় কিছু না। তিনি বলেন, ‘দেখেন, আমি কখনই ৫০ এর জন্য খেলি না। আমার কাছে মনে হয় না, একটা ৫০ হলে আমি লিটন দাস চেঞ্জ হয়ে যাবো। না হলে চেঞ্জ হবো না। আমার কাছে আফসোস এই জিনিসটা আমরা দুইজন মিলে ডিসকাস করছিলাম, ড্রিংকসের পরের ওভার এই ওভারটা নরমাল খেললে অ্যাটাকিং মুডে যাওয়া যায়। সামহাউ যদি ওই ওভারটা খেলে ফেলতে পারতাম তাহলে নেক্সট ওভার থেকে আমাদের দুজনের জন্য ফ্রি হিট গেম থাকত। তো ওই জায়গা থেকে আফসোস। নেক্সট টাইম যদি এই রকম হয়, চেষ্টা করব কন্টিনিউ করার।’