বাংলা সংবাদ মাধ্যম

আব্দুল অদুত খা, রামচন্দ্রপুরের এক ত্রাসের নাম

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

হ্যা বলছি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কামলা গ্রামের মৃত হাসেম আলী খান ওরফে হাসু খার ছেলে, সাবেক মেম্বার এবং আওয়ামীলীগ সভাপতি, মাদক সম্রাট আব্দুল অদুত খান ওরফে অদুত খার কথা। এলাকায় এমন কোন অপরাধ নাই যার সাথে সে সমপৃক্ত না। আওয়ামীলীগ সভাপতি ৭ নং ওয়ার্ড ও মেম্বর হওয়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এই অদুত খা। তাকে নিয়ে আতঙ্ক কাটছেনা গ্রামবাসীর।


গত ৫ জুলাই সৈরাচার বিদায় নিলেও অত্র এলাকা থেকে তার দোসর বিদায় হয়নী। অদুত খান ও তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এলাকায় চুড়ি, ডাকাতি, মসজিদের টাকা আত্মসাদ, মুদি ব্যবসার নামে দোকানে জুয়ার ব্যবসা, ধর্ষন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গ্রাম্য ক্রিমিনালী, মাদক ব্যবসা ,টাকার বিনিময় একজনের টুপি আরেকজনে মাথায় পড়ানো সহ কোন অপরাধই বাদ দেননী তিনি। সৈরাচার সরকার বিদায়ের পর তার ক্ষমতা যেন আরো কয়েকগুন বেড়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা নাজুকের সুযোগ নিয়ে তিনি এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী । তার শক্তির উৎস কোথায়? প্রশ্ন গ্রামবাসীর।
তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগঃ তিনি সৈরাচার সরকারের দোসর (ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি), নারী ধর্ষণকারী, মসজিদের টাকা আত্মসাদকারী, দীর্ঘদিন ধরে নিজের দোকানে মাদক ব্যবসা, তাস খেলার মাধ্যমে জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার তরুনদের প্রবেশ করান নেশার জগতে, এলাকায় তার মাধ্যমেই তরুন যুবকরা ইয়াবা সেবন করা শিখেছেন। সরকার পরিবর্তনের পর এলাকায় চুরি ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে, তারই নেতৃত্বে। এলাকার কিছু অসাধু চক্র (চোর, ডাকাত, নেসা খোর) তার সাথে জরিত রয়েছে বলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লেখ করেন।


এলাকার লোকজন তার ভয়ে কেউ মুখ খূলতে রাজি নয়। আবদুল অদুত খান এলাকায় দোকান বসিয়ে এক যুগ ধরে জুয়া ও বাবার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আবদুল অদুত খান পশ্চিম ঘরঘাটা গ্রামের নূরানী জামে মসজিদে জোরপূর্বক সভাপতি হয়েছিল, সভাপতি থাকা কালিন মসজিদের এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদের টাকার ব্যাপারে শালিশিতে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বল্লেও এখনো তা ফেরত দেননি আব্দুল অদুত খান।
অতএব যে লোক মসজিদের টাকা মেরে দিতে পারে তার দ্বারা কোন কাজ অসম্ভব নয় এটা সহজেই বোঝা যায়। ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল ওদুদ খান সম্পর্কে এমনটাই মুঠোফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন।
আব্দুল ওদুত খান একজন দুর্ধর্ষ ক্রিমিনাল এবং সুযোগবাদী লোক। যখন যে দল থেকে সুবিধা নেয়া যায় তখন সেই দেলের লোক হয়ে যান । যে কোনো মানুষের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে মিলে ম্যানেজ করে ফেলেন । আব্দুল ওদুত খান বিভিন্ন ক্ষেত্রে এলাকার লোকদের উস্কানি দিয়ে একে অপরের সাথে ঝগড়া, মারামারি, কাটাকাটি, জমিজমার বিরোধ মসজিদের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দেন যাতে বিচার বসিয়ে নিজে ফায়দা লুটতে পারেন । এ ব্যাপারে এলাকার এক ব্যক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মাধ্যমে তার অভিযোগের বিষয় সত্যতা পাওয়া যায়। তার অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নী সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার । লোক লজ্জার ভয়ে ঘটনার বিবরন দিতে রাজি হয়নী কয়েকটি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা।


আব্দুল ওদুদ খান কর্তৃক হিন্দু নির্যাতনের চিত্রঃ ১। বিনা রানী মিস্ত্রি, স্বামী তরুণ মিস্ত্রি, গ্রাম কামলা, থানা মোড়েলগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট। ধর্ষন চেষ্টা ও শারিরীক নির্যাতন। ২। নারায়ণ মিস্ত্রি, গ্রাম কামলা, থানা মোরেলগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট। তার সমস্ত জায়গা জমি নিজ নামে জাল দলিল করে নিয়ে যায় আব্দুল অদুত খান। ৩। নারায়ণ মিস্ত্রির ভাইজি সবিতাকে ধর্ষণ করে আব্দুল ওদুত খান। ৪। নারায়ণেএর স্ত্রীর ভাই বলরাম মিস্ত্রি আব্দুল অদুত খান এর ভয়ে জায়গা জমি ফেলে ভারত চলে যায়, আব্দুল অদুত খান তখন জায়গা জমি নিজ নামে জাল দলিল করেনেন।
৫। নারায়ণ মিস্ত্রির বড় ছেলে স্বপন মিস্ত্রীর জায়গা জমি জাল দলিল করে সব নিয়ে যায় আব্দুল অদুত খান । বর্তমানে স্বপন মিস্ত্রি বসবাস করেন তুচ্ছ গ্রামে মহিষপুরা থানা, মোরেলগঞ্, জেলা বাগেরহাট।
৬। বিনা রানী মিস্ত্রি, গ্রাম সৌলখালী, থানা মোড়েলগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট। এই নারীকে দিবালোকে আব্দুল অদুত খান ধর্ষণ করে ।


এছাড়া আরো অনেক হিন্দু, মুসলমান মহিলা পুরুষকে নির্যাতন করে আব্দুল অদুত খান (সাবেক মেম্বার, ৭ নং ওয়ার্ডের আ.লীগ সভাপতি) যারা তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছুক। এমনকি আব্দুল অদুত খান তার আপন চাচাতো বোন রোকেয়া বেগম স্বামীর সংসারে শান্তিতে সংসার করতো । তাকে নানভাবে কু-পরাপমর্শ দিয়ে ছাড়িয়ে এনে জোরপূর্বক আব্দুল অদুত খান বিয়ে করেন। মোঃ ইউুনুস খান এর প্রথম স্ত্রীকে অদুত খা ধর্ষণ করে। পরে ইউনুস খা তার স্ত্রী তালাক দেয়। গ্রাম কামলা, থানা মোড়েরগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট।, মোঃ আব্দুল জলিল খান, গ্রাম কামলা, থানা মোড়েলগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট। বয়জেষ্ঠ মুরুব্বি, তার দাড়ি ছিড়ে ফেলে এবং লাঠিপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।, মোঃ আলম খান, গ্রাম কামলা, থানা মোড়েলগঞ্জ ,জেলা বাগেরহাট। তারও মাথা ফাটায় এই ওদুদ। এসব বিষয় তার নিকট আত্মীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সত্যতা স্বিকার করে অনুসন্ধানকারীদের তথ্য প্রদান করেন। কিন্তু অদুদ খানকে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বিকার করেন।
যেহেতু আব্দুল অদুত খান এলাকার আতঙ্কের নাম। তাই প্রসাশন সহ সরকারের অন্যান্য দায়িত্বশীদের কাছে আব্দুল অদুত খানের ব্যাপারে যাচাইবাছাই করে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে এলাকাবাসীকে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন গ্রামবাসী । নতুবা ছাত্র জনতার ২০২৪ সালে রক্ত দিয়ে অর্জন করা স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে । কারন সমস্ত অর্জন নষ্ট করতে একজন কুচক্রী লোকই যথেস্ট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.