বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে শুক্রবার মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এর আগে, বৃৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের ট্রফি নিয়ে দুই ফাইনালিস্টের ফটোসেশন। তবে, সেখানে দুই দলের অধিনায়কের কেউই ছিলেন না। বরিশালের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং কুমিল্লার হয়ে সেখানে যান জাকের আলী অনিক।
মূলত, ফাইনালের ফটোসেশনে অলিখিত নিয়ম বা রীতি হিসেবে উপস্থিত থাকেন দুই দলের অধিনায়ক। তাই, সবার প্রত্যাশা ছিল দুই অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাসই ফটোসেশনে থাকবেন। তবে অধিনায়কদের না থাকার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা।
এদিকে, এ ফটোসেশনে নিজে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পাশাপাশি উপস্থিত না থাকার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন এই ওপেনার। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দুঃখপ্রকাশ করেন তামিম।
তামিম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।
তিনি আরও লেখেন, গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।
তামিম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।