স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে মাহিয়া মাহির বিচ্ছেদের খবর পুরোনো। তবে, এ বিষয়ে সামাজিকমাধ্যমে গতকাল একটি পোস্ট দেন রকিব। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন নায়িকাও।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তা দেন তিনি। রকিবকে এখনও সম্মান করেন জানিয়ে সেখানে তিনি বলেন, ও ফেসবুকে কী লিখল বা কী লিখল না, আই ডোন্ট কেয়ার। আমার মাথায় যদি পিস্তল ঠেকিয়েও কেউ বলে, তুমি এখনই মরে যাবে, তোমাকে শুট করব, রকিব সম্পর্কে কিছু নেগেটিভ বলো… আই উইল নেভার ডু দ্যাট (কখনোই এমনটা পারব না)।
আমি ওকে সম্মান করি এবং এটা মৃত্যু অবধি থাকবে। ওর কি কোনো নেগেটিভ সাইট নাই? দুইটা মানুষ প্রেম করার সময় বোঝা যায় না, কার কী প্রবলেম। বিয়ে হলে বোঝা যায়।
নিজের ভালোবাসায় কোনো কমতি ছিলনা জানিয়ে মাহি আরও বলেন, রকিব সরকার আমার হাজব্যান্ড ছিলেন, ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। আমি তাকে ভালোবেসে ছিলাম। অল্প নয়, অনেক ভালোবেসেছি। এতই ভালোবেসেছি, আপনারা দেখেছেন আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। কেন চলে গিয়েছিলাম? কারণ তিনি পছন্দ করতেন না। আমাকে কখনও মুখ ফুটে বলেনি যে, তুমি সিনেমা করতে পারবে না। আমার মনে হয়েছে ওর পছন্দ না, এজন্যই দূরে সরে গিয়েছিলাম। তার প্রতি আমার ভালোবাসা এই লেভেলের ছিলো।
সবশেষে মাহি বলেন, রকিব আমার জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছে। আমি ওর জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের একজন আছে। যদি কোনো টান আমাদের থেকে থাকে, তা হলো সন্তান। আমি ফারিশের মা, ও ফারিশের বাবা। যেহেতু আমরা ফারিশের বাবা-মা, তাই মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। কয়েক বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপরই রকিব সরকারের গলায় মালা দেন অভিনেত্রী। তাদের বিয়ের এক বছরের মাথায় জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। যার নাম ফারিশ।
এছাড়া, বিচ্ছেদের ঘোষণার পর ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের নামও পরিবর্তন করেছেন এই অভিনেত্রী। নিজের নাম থেকে স্বামীর ‘চিহ্ন’ ও মুছে ফেলেছেন তিনি। তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের আগের নাম ছিল ‘মাহিয়া মাহি সরকার’। এবার সেটা শুধুই মাহিয়া মাহি। তবে তার পেজের নাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।