বাংলা সংবাদ মাধ্যম

রেজুলেশন ও নিলাম ছাড়াই স্কুলের ইট বিক্রির অভিযোগ

কমিটির রেজুলেশন ও নিলাম ছাড়াই অবৈধ পন্থায় দুটি ভবনের প্রায় ২০-২৫ হাজার ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে চর মদাফৎ কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল হাকিম ও ইউপি সদস্য তারি উল্লাহ এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে।

সরেজমিনে জানা গেছে, চর মদাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলেও ওই বিদ্যালয়ের ৬০ হাত করে ২টি ঘরের প্রায় ৩০ হাজার ইট রেজুলেশন ও কোন নিলাম ছাড়াই অবৈধপন্থায় অষ্টমির চর ইউপি সদস্য তারিক উল্লাহ সহ বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ক্রেতারা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে ১ হাজার ইট ৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেয় এবং দ্রুত ইটগুলো সড়িয়ে ফেলে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসিরা ওই বিদ্যালয়ে যান এবং কিছু ইট আটক করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইটক্রেতা সফর আলী, তারিপ উল্লাহ, আবু চান, আবু তালেব, মাহাআলম ও গাজিবরসহ ১০/১৫ জনের বাড়িতে এই ইটের স্তুপ দেখা গেছে। কেউ আবার ঘরের কাজেও ব্যবহার করছেন। তারা বলছেন ইটসহ অন্যান্য নির্মাণ সমাগ্রী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে কিনে নিয়েছেন।

ইট ক্রেতা মাহাআলম বলেন, আমি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে থেকে স্কুলের কিছু ইট কিনেছি এবং কিছু বাড়িতে নিয়েছি। স্কুলের সভাপতি কয় তারা তারি ইটগুলো সড়িয়ে ফেলেক। তাই আমি গাড়ি নিয়ে আইছি ইট নেওয়ার জন্য আপনেই কন টাকা দিয়ে আমি কিনছিনা থুয়াযামু নাকি ইট।

অপর ইটক্রেতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ঘর ভাঙ্গার আগে গোপনে ইটগুলো ১০ থেকে ১৫ জনের কাছে বিক্রি করেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। সকালে এসে দেখি ঘর ভেঙ্গে গাড়ি দিয়ে ইট নিয়ে যাচ্ছে। ১হাজার ইট ৭হাজার টাকা করে বিক্রি করছে। বর্তমান ভাটায় ১হাজার ইট ১৪ হাজার টাকা। এখানে দাম কম হওয়া আমিও কিছু ইট কিনেছি।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল হাকিম বলেন, কিছু ইট বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরি দেওয়া হয়েছে। আরো কিছু ইট রয়েছে।

চর মদাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান (ভারঃ) বলেন, বিদ্যালয়ের ইট বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে শুনেছি সভাপতি তার একক সিদ্ধান্তে ইটগুলো বিক্রি করেছেন।

উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.