বাংলা সংবাদ মাধ্যম

শোকাবহ মাস আগস্ট শুরু

শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছিল এ মাসেই। শুধু বঙ্গবন্ধু না পুরো পরিবারের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ঘাতকের বুলেট। প্রতি বছর এ মাসটিকে শোকের মাস হিসেবেই পালন করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।

‘দ্য টাইমস অব লন্ডন’ এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্টের সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়, ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

শোকাবহ মাস আগস্ট-

৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচ রূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে ২১ বছরের কলঙ্ক মুছে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই আগস্টেই শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডই নয় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ছোড়া হয় গ্রেনেড হামলা, ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে এই মাসেই। তৎকালীন বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এছাড়া ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থানে ৫০০টিরও বেশি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

শোকাবহ আগস্টে সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো।

শোকাবহ আগস্টে আ.লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি-

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো। সোমবার (৩১ জুলাই) দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।

যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে মাসব্যাপী শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সকল সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

শোকাবহ আগস্টে আ.লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি-

একইসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতাদের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের মাসব্যাপী কর্মসূচি নিম্নরূপ:

শোকের মাসের শুরু উপলক্ষ্যে ৩১ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোকের মাসের প্রথম প্রহরে সারাদেশে জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আলোক প্রজ্বলন করবে ছাত্রলীগ। একই সময়ে মোমবাতি প্রজ্বলন ও খাদ্য বিতরণ করবে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে কৃষক লীগের আয়োজনে রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় যুবমহিলা লীগ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবে।

৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মিনতি আজ করি পিতা, একবার এসে দেখে যান’ শীর্ষক তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে প্রতীকী ‘বৃহস্পতিবার’ কর্মসূচি পালন করবে।

৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল ৮টায় আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এছাড়া শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।

৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরান খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনসমূহ। এছাড়া বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে আওয়ামী যুবলীগ। দুপুর ২টা বাদ যোহর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।

এছাড়া গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও “বাংলাদেশের মাতা’ বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক ছাত্রী সমাবেশ” করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আলোচনা সভা করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

৯ আগস্ট (বুধবার) সকাল ১০টায় বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ।

১১ আগস্ট (শুক্রবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

১২ আগস্ট (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় বক্তদান কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। সেদিন বিকাল ৩টায় বিএসএমএমইউ’র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।

১৩ আগস্ট (রবিবার) ১৫ আগস্টের সব শহীদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ, দেশব্যাপী শিশুদের ‘বঙ্গবন্ধু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ধানমন্ডি ৩২ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী (১৩ আগস্ট-১৫ আগস্ট) আলোকচিত্র প্রদর্শনী করবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ১৫ আগস্টের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করবে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

১৪ আগস্ট (সোমবার) ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ ।

১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ১২টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। উক্ত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

১৬ বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়াও মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ওইদিন প্রথম প্রহরে (রাত ১২:০১ মিনিট) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০) মোমবাতি প্রজ্বলন ও বিশেষ প্রার্থনা, সকাল ৯টায় তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে। দুপুর সারাদেশে অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থ মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও গণভোজের আয়োজন।

এছাড়াও ১৬ আগস্ট বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন ।

১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। মানববন্ধন করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। দেশবিরোধী, মানবতাবিরোধী, সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহানগর, জেলা, উপজেলায় ‘সন্ত্রাস ও মৌলবাদ’ বিরোধী পদযাত্রা করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

১৯ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১০টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয় (২য় তলা) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে মহিলা শ্রমিক লীগ। বিকাল ৩টা আলোচনা সভা করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

২০ আগস্ট (রবিবার) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে কৃষক সন্তানদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর উপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে বাংলাদেশ কৃষক লীগ।

২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। বিকেল ৫টা ২১ মিনিটে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোক শিখা প্রজ্বলন করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এছাড়া আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করবে কৃষকলীগ।

২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে কৃষক লীগ।

২৩ আগস্ট (বুধবার) ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে ও আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে মহিলা আওয়ামী লীগ।

২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা বনানী কবরস্থান ২১শে আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলায় শহীদ নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমানের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনসমূহ। বিকাল ৩টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা বেগম আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

২৫ আগস্ট (শুক্রবার) ১৫ ও ২১শে আগস্ট নিহত শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা আয়োজন করবে ছাত্রলীগ।

২৬ আগস্ট (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। ২১শে আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলায় জড়িত নীল-নকশাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করবে মহিলা শ্রমিক লীগ।বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র শোকাবহ আগস্ট স্মরণানুষ্ঠান করবে আ.লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি। এছাড়া ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা করবে যুবমহিলা লীগ।

২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

৩০ আগস্ট (বুধবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা বাংলাদেশ কৃষক লীগ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করবে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী যুবলীগ “শোক থেকে শক্তি; শক্তি থেকে জাগরণ” শীর্ষক আলোচনা সভার মাধ্যমে মাসব্যাপী কর্মসূচি শেষ হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.