চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মাহে রমজানের সম্মান রক্ষায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১২তম দিনের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাদরাসার শিক্ষক এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি জিয়াউল করীম।
চরমোনাই পীর বলেন, একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের আহাজারি চলছে। মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। এ জন্য দেশে আশঙ্কাজনকহারে ভিক্ষাবৃত্তি বাড়ছে। সর্বত্র গরীব ও অসহায় মানুষের আহাজারি চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় রোজাদার মানুষের সম্মানে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম। সবাই সিন্ডিকেট করে রোজাদারদেরকে কষ্ট দেয়।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার হঠাৎ করে কেন কোরআন ও ইফতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল, তা ভেবে দেখতে হবে। ভিনদেশিদের খুশি করতে দেশের মানুষের ঈমান ও আমলের উপর ছুরি চালাবেন তা হবে না।
তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার রোজাদারদের পক্ষে, কোরআনের পক্ষে থাকবেন নাকি ভিনদেশি সংস্কৃতির পক্ষে থাকবেন, এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন তিলাওয়াত ও ইফতারে নিষেধাজ্ঞা করে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করার মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যাদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। এই রমজান কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে ভিন্ন ম্যাসেজ দেয়।