বাংলা সংবাদ মাধ্যম

মার্কিন ড্রোন ধ্বংস, কী বলছে ন্যাটো

বুধবার এস্টোনিয়ার আকাশে রুটিন টহল দিচ্ছিল একটি জার্মান এবং একটি যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমান। অভিযোগ, আচমকাই একটি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এস্টোনিয়ার আকাশসীমার খুব কাছে চলে আসে। ঠিক তখনই জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের বিমান রাশিয়ার বিমানকে তাড়া করতে শুরু করে। তবে কোনো বিমানেরই ক্ষতি হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাশিয়া মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার প্রেক্ষিতেই বুধবারের ঘটনা ঘটেছে। ন্যাটোর ফোর্স হিসেবেই এস্টোনিয়ায় পাহারা দিচ্ছিল যুক্তরাজ্য ও জার্মানির বিমান।

ন্যাটো অবশ্য সরাসরি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞ ব্রুনো লেতে জানিয়েছেন, ন্যাটো বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। ঘটনাটি সরাসরি ন্যাটোর বিমানের সঙ্গে ঘটেনি।

মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে হয়েছে। মার্কিন ড্রোনের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে এর মধ্যে কিছু ধোঁয়াশা আছে। ন্যাটো সেখানে ঢুকতে চাইছে না।

ন্যাটো মনে করছে আমেরিকা এবং রাশিয়ার আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান হবে। যদিও ন্যাটোর সংবিধানে আর্টিকাল পাঁচ বলে, কোনো প্রতিনিধি দেশের ওপর হামলার অর্থ ন্যাটোর ওপরেই হামলা। কিন্তু সেই জায়গায় ন্যাটো এখনই ঢুকতে চাইছে না।

এদিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন ড্রোন রাশিয়ার আকাশসীমার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই সেটিকে নামানো হয়েছে। বুধবারের ঘটনা নিয়ে অবশ্য রাশিয়া এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.