নিজেস্ব পতিবেদকঃ বাংলাদেশ স্কাউটস এর একজন ছিলেন প্রোগ্রাম বিভাগের উপ পরিচালক ও প্রটোকল অফিসার প্রধান জাতীয় কমিশনার, জনাব আশিকুজ্জামান এবং অপরজন তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। দুজনই বাংলাদেশ স্কাউটস এ চাকুরী করেন। জনাব জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলাদেশ স্কাউটস এর অফিসারদের মধ্যে অযোগ্যতার শীর্শে অবস্থান করেন। প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ স্কাউটস এর রেভিনিউতে আসা এই মহিলা অফিসার তার স্বামীর পাওয়ার খাটিয়ে বহু অফিসারকে বদলি করেছেন ও বদলীজনিত তদবির করে টাকা কামিয়েছেন। তিনি গার্ল—ইন কাউটিং বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার ডেস্কে সব সময় কিছু পুরুষ অফিসার এর ভির লেগেই থাকতো। তাঁর সাথে কিছু জুনিয়র অফিসারের ছিল খুবই সু-সম্পর্ক যা ছিল দৃষ্টি কটু।
রেলওয়েতে এই আশিকুজ্জামানের বাবা কেরানী পদে চাকুরী করতেন। ঘুষখোর এই কেরানী তার আমলে সিবিএ নেতা ছিলেন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেমন বাবা তেমনি গুনধর তার ছেলে বাংলাদেশ স্কাউটস এ দুর্নিতীগ্রস্থদের মধ্যে অন্যতম একজন। প্রোগ্রাম বিভাগে থাকাকালীন সময়ে পিএস ও পিআরএস অ্যাওয়ার্ডীদের বঞ্চিত করা ও টাকার বিনিময়ে পিএস পিআরএস অ্যাওয়ার্ড পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। প্রোগ্রাম বিভাগের প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন না করেই টাকা উত্তোলন করে খরচ করে ফেলেছেন এবং তা পরে সামনের অর্থ বছরের সাথে সমন্বয় দেখিয়ে টাকা লুট করেছেন এই কর্মকর্তা।
দাদাভাই খ্যাত বাংলাদেশ স্কাউট এর উপ পরিচালক জনাব আশিকুজ্জামান বিপুল মহোদয়ের যতসব কূকীর্তি :
জনাব আশিকুজ্জামান বিপুল দীর্ঘদিন ধরেই জনাব আতিকুজ্জামান রিপন মহোদয়ের ছত্রছায়ায় প্রোগ্রাম বিভাগে অনিয়ম করে যাচ্ছে। যার কিছু নমুনা
১) করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন এবং অর্থবিভাগ থেকে টাকা উত্তোলন করে কিন্তু প্রতিযোগীদের গিফট বিতরণ করেনি। যেই টাকা পুরোটাই তিনি আত্যোসাৎ করেছেন।
২) করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড মুল্যায়ণে কাবদের জন্য বরাদ্দকৃত মোবাইল ডাটাবিল বাবদ সম্মানি বিতরণ না করে নিজ পকেটে পুড়ে নিয়েছেন।
৩) অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অর্থ বিভাগ থেকে তুলেছে এবং সেটি নিজ অ্যাকাউন্টে রেখে আত্যসাৎ করেছেন। প্রোগ্রাম তো বাস্তবায়ন করেনইনি এবং অর্থ ফেরত ও দেন নি।
৪) সর্বশেষ অনুষ্ঠিত পিএস পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ক্যাম্পের বিল ভাউচার সমন্বয় করেনি। বিপুল পরিমাণ টাকা আত্যসাতের অভিযোগ রয়েছে।
৫) ২০২৩ সালে সমাপ্ত এপিআর জাম্বুরির প্রোগ্রাম বিভাগের হিসাব প্রায় দের বছর পর জাতীয় কাউন্সিলের কিছুদিন পূর্বে নয় ছয় করে জমা দিয়েছেন। যেখানে অনেক সমন্বয়হীনতা রয়েছে।
৬) ভুয়া বিল ভাউচার সাবমিট করে রোভারদের র্যাম্বলিং এ জাতীয় সদর দফতর থেকে সহায়তার নামে প্রায় ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। যা পুরোটাই করেছেন প্রিয় দাদা ভাই
সে বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ড্রামস কিনা হলে সেখান থেকে তার মেয়ে একটি গিটার ও আতিকুজ্জামান রিপন, জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) এর ছেলে একটি দামী গিটার উপহার পান। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রতিটি ক্ষেত্রে এই প্রটোকল অফিসার দুর্নিতীর ভাগ পেত। একজন কেরানীর ছেলে হয়েও ঢাকা শহরে ২টি জমি ও একটি ফ্লাটের মালিক এই আশিকুজ্জামান।
সে যখনই কারো সাথে পেরে উঠতো না তখনি তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে কাজে লাগাতো বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বড় বড় অফিসারদের বদলি করিয়েছেন। তৎকালীন প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এর নাম ভাঙ্গিয়ে করেছেন টাকার পাহাড়। শুধু তাই নয় ক্যাম্পুরী, জাম্বুরী, কমডেকা, রোভার মুটসহ সকল জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে নিজেস্ব সিন্ডিকেট দারা গেঞ্জি, টুপিসহ যাবতীয় সকল কিছুর কাজ করাতেন।
এদের কিছুই হয়নি, হবেও না বলে মনে হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস এ এই সব দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তাদের সুনিদৃষ্ট অভিযোগ থাকলেও তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা (পুলিশ এর উর্ব্ধতন কর্মকর্তা) ভয়ে কিছুই করতে চাচ্ছেন না। এখন দেখার বিষয় হলো বাংলাদেশ স্কাউটস এর উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা এই দুর্নিতীবাজদের কি করেন।