রিপোর্ট কাইয়ুম হোসেন: ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা আগারগাঁও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এক্সপো আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক জনাব মো: হাফিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সম্মানিত আহবায়ক জনাব জাকির হোসেন নয়ন, BPHCDOA এর মহাসচিত ডা. মইনুল আহসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, এই মেলায় চীন, জাপান, পাকিস্তান, ভারত, কোরিয়া ও বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানী তাদের পন্য প্রদর্শন করেন। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে মাথাপিছু খরচ দাঁড়াবে আনুমানিক ৬০ ডলার। যা ২০২০ সালের তুলনায় ১৭.৬৫% বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে ২০২২ সালে মোট হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ৫,৮১৬। ২০২২ সালে বাংলাদেশে বিশেষায়িত হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ২৪টি, বিশেষায়িত ক্লিনিকের সংখ্যা ছিল ৬৪টি, ট্রমা সেন্টারের সংখ্যা ছিল ৬টি, আইসিইউ সুবিধার সংখ্যা ছিল ৩৫টি, যার মধ্যে ৪৯৮টি শয্যা ছিল, সিসিইউ সুবিধার সংখ্যা ছিল ২৮টি, যার মধ্যে ৪৭১টি শয্যা ছিল, ডায়ালাইসিস সুবিধার সংখ্যা ছিল ১৪টি, যার মধ্যে ২৬৩টি শয্যা ছিল, বাংলাদেশে NICU/SCANU সুবিধার সংখ্যা ছিল ৭টি এবং ১৩৫টি শয্যা ছিল।
গত দুই দশকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটেছে। নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১,১২৫ থেকে ৪,৪৫২ এ পৌঁছেছে। ক্লিনিকগুলির সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ থেকে বেড়ে ১,৩৯৭, ডেন্টাল ক্লিনিকগুলিতে প্রায় সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২২ থেকে ৮৩৯ টি হয়েছে। অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১,৭৭৮ থেকে বেড়ে ১০,২৯১ টি হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবছর চিকিৎসা ব্যায় আনুপাতিক হারে বাড়ছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ছিল ৫১ ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৬.২৯% বেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ছিল ৪৮ ডলার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৬.৫৩% বেশি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ছিল ৪৫ ডলার, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৫.৮৪% বেশি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ছিল ৪২ ডলার, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৬.৮৭% বেশি। প্রতিবছর এভাবেই স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বাড়ছে।
এই মেলায় সেমিনার এবং নির্মাতাদের সাথে সরাসরি ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী থেকে কাষ্টমার যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ডায়াগনস্টিক চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও এর ব্যবহার এবং নবনির্মিত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন, সাথে বাজার সম্ভাবনাও প্রসারিত হবে।
আয়োজকদের মতে, “ঢাকা আন্তর্জাতিক ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এক্সপো – ২০২৫” হল সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সেক্টরের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রযুক্তিতে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার যাত্রায় বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
এই মেলা আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।