বাংলা সংবাদ মাধ্যম

সালমান খানকে হত্যার চেষ্টা? তদন্তে পুলিশ

সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির বাইরে রোববার সকালে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সকাল ৫টায় একটি মোটরসাইকেলে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিস্টার খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। 

হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

গত বছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) থেকে জানানো হয়েছিল, মিস্টার খান ১০টি গ্যাংয়ের লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।

১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তারপর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিষ নজরে। লরেন্সকে বলতে শোনা গেছে, এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। ভাড়া করেছিলেন শার্প শ্যুটার।

বিষ্ণোইকে বলতে শোনা গেছে, তার বন্ধু, সম্পাত নেহরা, মিস্টার খানের বান্দ্রার বাড়ির দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য যোগ্য পরিস্থিতি তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সেও রয়েছে কারাগারে।

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তার বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি, কানাডা-ভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়।

প্রসঙ্গত, এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিলেন। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট-ওয়ান্টেড পলাতকদের তালিকায়।

গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা। বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনি জানতেই পারবেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.