৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মি করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। তবে মুক্তিপণ নিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি জলদস্যুদের। তীরে পৌঁছানোর পর রোববার (২৪ এপ্রিল) অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
সোমালিয়ার স্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘গারোই অনলাইন’ এমন তথ্য জানিয়ছে। সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তারা এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা আট দস্যুকে গ্রেফতার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত পান্টল্যান্ড পুলিশের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এর আগে, গত ১৭ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করার কথা পুলিশের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে আরব আমিরাতের দিকে যাওয়ার সময় জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। দীর্ঘ ৩২ দিন পর জাহাজটিকে মুক্তি দেয়ার কথা আজ ভোরে জানায় জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জলদস্যুদের সঙ্গে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে চলমান সমঝোতা সফলভাবে শেষ হলে দস্যুরা জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি দেয়। তারা মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু না বললেও দুই জন সোমালি জলদস্যুর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে মুক্তিপণ হিসেবে সোমালিয়ান জলদস্যুদের দিতে হয়েছে ৫০ লাখ ডলার।